কুমিল্লার তিতাস উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের নয়াকান্দি-বাটিবন ও সোনাকান্দা গ্রামের মানুষের পারাপারের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। জানা যায়, উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের নায়াকান্দি-বাটিবন ও সোনাকান্দা সড়কের খালের উপর নির্মিত অনেক পুরনো ব্রিজটি ৮৮র বন্যায় ভেঙে যায়।
এরপর থেকেই মানুষের কাছ থেকে টাকা তোলে ওই ভেঙে যাওয়া ব্রিজের মাঝখানের পিলারের ওপর বাঁশ বসিয়ে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে চলাচল করছে মানুষজন। নয়াকান্দি-বাটিবন ও সোনাকান্দা সড়কের খালের ওপর ব্রিজ না থাকায় একটি ব্রিজের অভাবে বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়েই কয়েক গ্রামের মানুষ চলাচল করতে হয়।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের নয়াকান্দি-বাটিবন ও সোনাকান্দা সড়কের খালের ওপর একটি ব্রিজের অভাবে জনদুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে চলাচল করছে প্রায় ৭-৮টি গ্রামের মানুষ। স্থানীয়দের দাবি নয়াকান্দি, বাটিবন ও সোনাকান্দা সড়কের খালের উপর একটি ব্রিজের অভাবে ৭-৮ গ্রামের মানুষ প্রতিদিনই চরম ভোগান্তির মধ্যে দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে চলাচল করতে হয়।
নারান্দিয়া ইউনিয়নের নয়াকান্দি গ্রামের আবদুল মতিন (৬০) বলেন, ৮৮র বন্যার সময় ব্রিজটি ভেঙে গেছে আর হইতাছে না, এই ব্রিজডা নিয়া আমরা অনেক কষ্ট ভোগ করতাছি। আমরা নিজেরা গ্রামের মানুষের কাছ থেকে টেকা টুকা তুইলা বাঁশমাস দিয়া ইটাতে একটু সহযোগিতা করি।
৭-৮ গ্রামের মানুষ এই বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে যাতায়াত করে। স্থানীয় প্রতিনিধিরা কী কোন সহযোগিতা করে না, তার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ভোট আইলে ভোট নিয়া যায় ব্রিজ কইরা দিবো বইলা, কিন্তু নির্বাচনে পাশ করার পর আর কোন খবর থাকে না।
সোনাকান্দা গ্রামের আবুল কাসেম মোল্লা (৭০)বলেন, খালি মাপজোপ নিতাছে আর কইতাছে ব্রিজ হইবো ব্রিজ হইবো বইলা যায়,কিন্তু ব্রিজ তো আর হয় না।এখানে একটা ব্রিজ হলে আমদের অনেক উপকার হইতো। একটা ব্রিজ করে দিলে এলাকার মানুষ যাতায়াত করতে আর কোন অসুবিধা হতো না।
টিএইচ